ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

মেরিনার ছেলে ও ব্যাংকার মেয়ের অত্যাচারে বাবা গেলেন কোর্টে

নিজস্ব প্রতিবেদক :: টাকা ও সম্পদের দখল নেওয়ার জন্য একসময়ের নামি ব্যবসায়ী বাবার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল উচ্চশিক্ষিত দুই ছেলেমেয়ে। এদের একজন মেরিনার এবং অন্যজন ব্যাংক কর্মকর্তা। বাবা সৈয়দ আনোয়ার হোসেন একসময়ের নামি ব্যবসায়ী। জাপানের হিটাচি কোম্পানির বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ছিলেন তিনি। ৬৭ বছর বয়সী এই ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারের কলেজ রোডের দেবপাহাড় এলাকায় বসবাস করেন।

জানা গেছে, মা-বাবা দুজনেই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর চট্টগ্রাম নগরীর দেবপাহাড় এলাকায় দুটি ফ্লাট ছেলে সৈয়দ জুনায়েদ ফয়সাল এবং মেয়ে আজমী নাশীদ তারেক নিজেদের নামে লিখে নেয়। এরপর মা-বাবার ভরণপোষণ খরচ না দিয়ে উল্টো সম্পদ আত্মসাতের জন্য মারধর ও নির্যাতন করতে থাকে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বিচারের দাবিতে শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্ত হন মা বাবা।

বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) মারধর, গুরুতর জখম ও প্রাণনাশের হুমকিসহ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অনন্যোপায় হয়ে নিজের ছেলে ও মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সরোয়ার জাহানের আদালত চকবাজার থানার ওসিকে ওই মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

এই মামলার দুই আসামি হলেন সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের ছেলে মেরিনার সৈয়দ জুনায়েদ ফয়সাল (৩৩) এবং মেয়ে ইউসিবি ব্যাংক খুলশী শাখার কর্মকর্তা আজমী নাশীদ তারেক (৩৭)।

দুই ছেলে-মেয়ে সৈয়দ জুনায়েদ ফয়সাল ও আজমী নাশীদ তারেকের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৩২৬/৩০৭/৪০৬/৪২৭/৫০৬ ও ৩৪ ধারায় পিতা সৈয়দ আনোয়ার হোসেন মামলাটি দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন বাদির আইনজীবী জিয়া হাবীব আহসান।

মামলার এজাহারে বাদি লিখেছেন, ২০১০ সালে দেবপাহাড়ে থাকা তার দুটি ফ্ল্যাট কৌশলে ও জোরপূর্বক আসামিরা (ছেলে ও মেয়ে) হেবা হিসেবে গ্রহণ করে। এ কাজ করার আগে তিনি ও তার স্ত্রী ছেলেমেয়ের হাতে মারধরের শিকার হয়। তারও আগে ছেলে মেয়ে দুজন তার ১৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। সর্বশেষ গত ২৯ আগস্ট তার কাছ থেকে হঠাৎ করে ৫০ লাখ টাকা চেয়ে বসে তার দুই ছেলে-মেয়ে। টাকা দিতে না পায় তাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করেন। এছাড়াও ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেয় তারা।

বাদি সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাকে এতো অত্যাচার করছে আমি সহ্য করতে না পেরে আদালতের দ্বারস্ত হয়েছি। তারা আমাদের প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দিচ্ছে।’ চট্রগ্রাম প্রতিদিন

পাঠকের মতামত: